লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে থামছে না অবৈধভাবে খাল দখল। স্থানীয় প্রভাবশালীরা জেলার ঐতিহ্যবাহী রহমতখালী খাল, রায়পুরের ডাকাতিয়া নদী ও ভুলুয়া খালের দু-পাশ ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছে। এতে নষ্ট হচ্ছে জীব-বৈচিত্র, বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। ঠিকমত পানি নিস্কাশন না হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। দখলদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই পুরো খাল দখল হয়ে যাওয়ার আশংকা স্থানীয়দের। এদিকে, খাল পূনঃখননের জন্য ৪০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সাংসদ।
লক্ষ্মীপুর, রায়পুর, রামগতি, কমলনগর ও রামগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া রহমতখালী খাল, ডাকাতিয়া নদী ও ভূলুয়াসহ এ তিনটি খাল এখন প্রায়ই মৃত। প্রায় দেড়শ কিলোমিটার জুড়ে ছিল এসব খাল ও নদীর অস্তিত্ব। বর্তমানে রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠেছে কোন না কোন স্থাপনা বা বহুতল ভবন। ইট-বালি আর মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে খালের দু-পাশ।
অভিযোগ রয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দূর্নীতিবাজ কিছু কর্মকর্তার যোগসাজেসে চলছে এসব দখল। এছাড়া, খালে ময়লা আর্বজনার স্তুপের কারনে পানি নিস্কাশন হচ্ছেনা। ফলে অল্প বৃষ্টিতে পৌর এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
স্থানীয়রা জানান, এই নদী ও খাল দিয়ে ভোলা-বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পণ্য সামগ্রী নিয়ে আসা-যাওয়া করতেন ব্যবসায়ীরা। আর খালের পানি দিয়ে বিভিন্ন মৌসুমে সবজির চাষ করতেন চাষীরা। দিন দিন খালগুলো ছোট হয়ে যাওয়ায় এখন আর তা দূর অতীত।
এদিকে, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: শাহজাহান। আর খাল পূনঃখননের জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন