দেশে পাঁচ প্রজাতির চিংড়ি চাষ, আধুনিকায়ন হলে বেশি উৎপাদন সম্ভব
নিজস্ব প্রতিবেদক: চিংড়ি চাষ খুব জটিল নয়, তবে নিরিড় পরিচর্যা দারুণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এইখানটায় দুর্বলতা চাষের চার দশকেও দূর করা যায়নি। তবে কালক্রমে চিংড়ি চাষের জমি বি¯তৃত হয়েছে, উৎপাদনও বেড়েছে। নতুন নতুন প্রজাতির চিংড়ি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে চাষের তালিকায়।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের গোটা উপক’ল জুড়েই নোনা পানির চিংড়ি চাষ বি¯তৃত হয়েছে চার দশকে। এই অঞ্চলে চিংড়ি চাষের পদ্ধতিটা উদ্যোক্তাদের ভাষায় এখনও সনাতনী।
সাগর থেকে আসা জোয়ারের লবণাক্ত পানি যখন এই উপক’লের নিুাঞ্চলে ঢুকে পড়ে, তখন সেই পানি আটকে রেখে চলে নোনা পানির চিংড়ি চাষ।
চিংড়ি চাষে দেশ জুড়ে ব্যবহৃত জমির সিংহভাগ এই উপক’লে। প্রায় দুই লক্ষ হেক্টর জমিতে লবণাক্ত পানির চিংড়ি চাষ হয়। তবে এই চাষ সনাতনী না হয়ে যদি অন্য দেশগুলোর মতো আধুনিকায়ন বা আধানিবিড় পদ্ধতির করা যেত তাহলে একই পরিমাণ জমিতে আরো বেশি চিংড়ি উৎপাদন সম্ভব হতো।
প্রধান দুই চাষের চিংড়ির মধ্যে নোনা পানিতে হয় বাগদা। উদ্যোক্তাদের হিসেব মতে সনাতনী পদ্ধতির চাষে প্রতি হেক্টর জমিতে সর্বোচ্চ সাড়ে তিনশ কেজি বাগদা চিংড়ি পাওয়া যায়। সেই অনুসারে বছর দেশে প্রায় ৭০ হাজার টন বাগদা চিংড়ি উৎপাদিত হয়।
চিংড়ি চাষের এই এলাকা উপক’ল অঞ্চল থেকে অনেক দূরে। এখানে মিঠা পানিতে চিংড়ি চাষ হয়। এই পানিতে সবচেয়ে বেশি হয় গলদা চিংড়ির চাষ। গলদা মূলত মিঠা পানিতে চাষ হলেও নোনা পানিতেও এর চাষ সম্ভব। দেশে আশি হাজার হেক্টর জমিতে সনাতন পদ্ধতিতে বছরে প্রায় ৫০ হাজার টন গলদা চিংড়ি উৎপাদিত হয়। চিংড়ি চাষে পোনার মান নিশ্চিত করা খুব জরুরি। এক্ষেত্রে যথেষ্ট সীমাবদ্ধতা থাকায় সংগ্রাম করতে হচ্ছে চাষীদের।
চিংড়ির পোনা এবং চাষের পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ অনুযোগ বহু বছর ধরেই চললেও এর স্থায়ী সমাধান ও উন্নয়নের ব্যাপক কোন পরিবর্তন আসেনি। বিগত কয়েক বছরে বিদেরশের মতো উন্নত বা আধা নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ির চাষ কক্সবাজার, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় কিছু বিত্তশালী চাষী শুরু করেছে। এর ভালো ফলও পেয়েছে। কিন্তু ব্যয় বহুল এই চাষ পদ্ধতি বহু প্রান্তিক কৃষকের পক্ষে অনুসরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
চিংড়ির চাষকে আরো উৎসাহিত করতে এর বাণিজ্যকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা প্রয়োজন বলে মনে করেন চাষীরা। অথচ সেইখানটাতেই তৈরি হয়েছে দুর্বল জায়গা।
এই বিভাগের আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক : যে দল সরকারে সে দলের নেতাদের দখলে সড়ক ও পরিবহন। তারাই জিম্মি করে যাত্রীসেবাকে। প্রাপ্ত তথ্য বলছে, রাজধানীতে বেশিরভাগ বাস...
নিজস্ব প্রতিবেদক: শৃংখলা শব্দটি যেন একদম বেমানান দেশের পরিবহন খাতে। সড়কে নিয়মনীতি মানার ও প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাই নেই কারও। পরিবহন মালিক,...
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্কুলে পড়ুয়া শিশু-কিশোররা গেল বছরের মাঝামাঝি নিরাপদ সড়কের নামে অভূতপূর্ব এক আন্দেলন করেছিল রাজপথে। সেই আন্দোলনের পর গত...
নিজস্ব প্রতিবেদক: অবকাঠামোগত উন্নয়নে বালু চাই। এক দশকেরও কম সময় আগ পর্যন্ত দেশে প্রাকৃতিক এই সম্পদ সংগ্রহের বিষয়টি ছিল অবাধ। এর ফলে অনেক...
নিজস্ব প্রতিবেদক: নদী ভাঙন, পূর্বে নির্মিত কোন সেতুতে ফাটল, নদীর গতিপথ পাল্টে যাওয়াসহ নানা রকমের বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে অবাধে যত্রতত্র ভালু...
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের শতাধিক নদীতে প্রতিদিন ১ কোটি ঘন ফুটের বেশি বালু উত্তোলন করা হয়। যার আর্থিক গড় মূল্য ৮ কোটি টাকা। যা মাসে ২শ ৪০ কোটি...
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন
আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা আছে *